Tuesday, October 6, 2009

বাদাম, চন্দনে ত্বকের সুরক্ষা

প্রাকৃতিক নানা উপাদান ত্বকের সুরক্ষাতে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এই ভেষজ উপাদানের ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বাল্য বাড়ে৷ এর সঙ্গে সৌন্দর্যেও এক নতুন মাত্রা যোগায়৷ চলুন সেই ভেষজ উপাদানগুলোর কথা জেনে নিই৷

বাদাম এবং কমলা লেবু: মেয়েদের একটা সমস্যা হল ব্রোনোর দাগ মেটানো৷ যদি মুখে ব্রোনোর কারণে দাগ হয তাহলে দুটো বাদাম পিষে তার মধ্যে দুধ ও এক চামচ শুকনো কমলা লেবুর গুড়ো মিশিয়ে আস্তে আস্তে মুখে ঐ পেস্টটা লাগান৷ বেশ কিছুক্ষন রাখার পর ঐ প্যাকটা যখন মুখে শুকিয়ে যাবে তখন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ অল্প দিনের মধ্যেই আপনার মুখের সব দাগ দূর হযে যাবে৷

কাচা দুধ ও চন্দন পাউডার: রোদের কারণে অনেক সময় ত্বক পুড়ে যায়৷ চামড়ার মধ্যে কালো ছাপ তৈরি হয়৷ সেক্ষেত্রে ত্বকের উজ্জ্বাল্য ফিরিয়ে আনতে ডাবের জলের মধ্যে কাচা দুধ, অল্প চন্দন পাউডার, শশার রস, লেবুর রস, বেসন মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন৷ সপ্তাহে দু দিন ঐ প্যাকটা সারা শরীরে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষন রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে৷

চুল পড়া বন্ধ করুন

আজকালকার দূষন যুক্ত পরিবেশে অনেক মানুষেরই কম বয়েসে চুল পড়ে যায়৷ এই সমস্যা কাটাবার জন্যে নিম পাতা ও মেথী দানাকে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন এবং সেই রসকে মাথার চুলের উপরে লাগান৷ তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিলে আপনার চুল পড়ার হার আস্তে আস্তে কমে যাবে৷

ত্বকের চটচটে ভাব কমানোর পদ্ধতি

আমাদের মধ্যে অনেকের ত্বক চটচটে হবার জন্য সৌন্দর্য্য বিঘ্নিত হয়ে যায়৷ ত্বকের এই চটচটে ভাব কমানোর ব্যাপারে বিশেষ কার্যকরী হল শশা, কাঁকুড় ও টমেটো৷ এবার এগুলিকে একসাথে নিন ও ভালো করে পিষে নিন৷ এই মিশ্রনটিকে ত্বকের

ত্বককে সংক্রমন থেকে রক্ষা করুন

মুখের উপরে বা ত্বকের অন্যান্য স্থানে যদি কোন প্রকারের সংক্রমন হয়, তাহলে আপনি খুব সহজ উপায়েই এই সমস্যার সমাধান করতে পাড়েন৷ ত্বকের যে স্থানে সংক্রমন হয়েছে সেই স্থানে দুধের সরের সাথে কিছুটা পরিমানে হলুদ মিশিয়ে সেই সংক্রমিত স্থানে লাগান৷ কিছু দিনের মধ্যে ক্ষত স্থান ঠিক হয়ে যাবে৷

ত্বককে মুলায়ম করে তুলুন

আপনার ত্বক যদি খসখসে ধরনের হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়৷ তাই ত্বকের এই অবস্থা দূর করবার সেদ্ধ আপেলের সাথে গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে মুখের উপরে প্রলেপ লাগিয়ে নিন৷ কিছুক্ষন পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটিকে ধুয়ে নেবেন৷

ত্বকের মৃত অংশ দূর করুন

আপনাদের অনেকের ত্বকের উপরের অংশের কোষগুলি শুকিয়ে যায়৷ যার ফলে ত্বকের সজীবতা অনেকাংশেই কমে যায়৷ এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা সম্ভব৷ প্রথমে দুধের সাথে কিছুটা পরিমানে নুন মিশিয়ে নিন৷ তারপর এই মিশ্রনটিকে ত্বকের উপরে মালিশ করতে থাকুন৷ এই মালিশ হয়ে যাবার পর আলুর টুকড়োগুলি দিয়ে মালিশ করতে থাকুন৷

সহজ উপায়ে ব্রন কমান

অনেকে প্রকৃত সুন্দরী হলেও ব্রনর সমস্যার জন্যে তাদের রূপ প্রকাশিত হতে পারেনা৷ ব্রন সমস্যাকে খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মেটানো সম্ভব৷ এর জন্যে পরিস্কার আটার সাথে কিছুটা পরিমান মধু, পাতিলেবুর রস এবং বাদাম বাটা মিশিয়ে নিন৷ এবার এই মিশ্রনটিকে প্রতিদিন মুখের প্রলেপের মতন করে লাগাতে থাকুন৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ম মেনে চললে আপনার ব্রন সমস্যা একেবারে কমে যাবে৷

ত্বককে কি করে সতেজ করবেন?

ঘৃতকুমারী পাতা থেকে সাদা অংশটা বের করে প্রতিদিন মুখে লাগান৷ এতে আপনার ত্বকের সতেজতা বাড়বে৷
বেদানার চোকলা দিয়ে দাগ দূর করুন
বেদানার চোকলা দুধের মধ্যে পিশে মুখে লাগান৷ এতে আপনার মুখের যে কোন দাগ দূর হযে যাবে৷
মুখের রঙ ফর্সা করুন
গাজরের রসের মধ্যে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান৷ 20 মিনিট রাখার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন৷

মুখের রঙ ফর্সা করুন

* আলুর চোকলা ছাড়িয়ে আলুটা ভাল করে কিষে নিন৷ এই কেষা আলুটা মুখে লাগান৷ এতে আপনার মুখের কালো ছাপটা দূর হয়ে যাবে৷ ত্বকও নমনীয় হবে৷


* মালাই আর গোলাপ জল মিশিয়ে হালকা ম্যাসেজের মধ্যে দিয়ে মুখে লাগান৷ এটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে৷

* দুধ আর মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে ঘাড়,হাত এবং পায়ে মালিশ করুন৷ এতে ত্বক নমনীয় হবে৷

* পেঁপে ভাল করে চটকে এর মধ্যে মধু আর দুধ মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরী করুন৷ এই প্যাকটা মুখে ও হাতে লাগিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের সব নোংরা দূর হয়ে যাবে৷

সৌন্দর্য বাড়ানোর ফলদায়ী টিপস

ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতে পারি৷ এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো দিয়ে কি ভাবে সৌন্দর্য বাড়ানো যায় চলুন জেনে নিই৷

* লেবুর রসের মধ্যে চিনি মিশিয়ে ঐ মিশ্রনটা কনুই,ঘাড় এবং হাতে ভাল করে রগড়ান৷ এতে শুধু নোংরাই দূর হবে না৷ আপনার ত্বকও মুলায়াম হবে৷ এর সঙ্গে ট্যানিংও দূর হয়ে যাবে৷

গরমে চুলের সুরক্ষা কি করে বজায় রাখবেন?

গরম কালে ধুলো বালিতে চুল একেবারে রুক্ষ্ণ হয়ে যায়৷ চুলকে রুক্ষ্ণতার হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিদিন মাথা ভাল করে ধুন এবং চুলে কন্ডিশনার লাগান৷

বেসন আর হলুদ লাগান

বেসন আর হলুদ লাগান
বেসনের সঙ্গে হলুদ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান ৷ত্বক উজ্জ্বল হবে৷
গোলাপ জল চাকচিক্য বাড়ায়
মুখে প্রতিদিন গোলাপ জল লাগান৷ ত্বকের গ্ল্যামার বাড়বে৷
ত্বক মোলায়েম করে পুদিনা
পুদিনা বেটে মুখে লাগানোর পরে 20-25 মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন৷ ত্বক মোলায়েম হবে৷
মেথি ডেনড্রাফ দূর করে
100 গ্রাম মেথিদানা জলের মধ্যে মিশিয়ে তা পিষে মাথায় লাগান খুসকী কমে যাবে৷
গাজরে খুসকী নাশ
গাজরের রস মাথায় লাগান খুসকী কমে যাবে৷

পেঁপের পেস্ট লাগান

পেঁপের পেস্ট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন৷ ত্বকের কালো ভাব দূর হয়ে যাবে৷ ব্রোনো হবে না৷

রোদ থেকে মুখ বাঁচান

রোদে যদি মুখ পুড়ে যায় তাহলে জাম পাতা,আম পাতা বেটে ঐ পেস্টের মধ্যে হলুদ গুড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে ৷

ত্বকের কালো ছাপ মেটান

যদি ত্বকের মধ্যে কালো ছাপ হয়ে যায় তাহলে চিনির রসের মধ্যে নুন মিশিয়ে ভালো করে মালিশ করুন কালো ছাপ দূর হয়ে যাবে৷

চোখের নীচের কালো ছাপ মেটান

গরমের দিনে রাতে শোওয়ার আগে চোখে গোলাপ জল দিতে কখনও ভুলবেন না৷ এছাড়া শশা, কাচা দুধের ক্রিমটাও চোখের জন্য উপকারী৷ এগুলো চোখে দিলে কখনও চোখ জ্বালা অনুভব করবেন না৷ চোখের নীচের কালো ছাপও মিটে যাবে৷

মেক আপ তুলে ঘুমান

চেহারা সাবান দিয়ে না ওয়াশ করে ফেশওয়াশ ব্যবহার করুন৷ রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে আপনার মেকআপ অবশ্যই ধুয়ে ফেলুন৷

মুখের উজ্জ্বাল্য বাড়ান

গোলাপের পাপড়ি পিশে দুধের স্বরের মধ্যে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এতে আপনার মুখের উজ্জ্বাল্য বাড়বে৷

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমান

ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে চন্দনের মধ্যে স্বল্প পরিমান গন্ধক মিশিয়ে নিন৷ গরমের সময়ে এই প্যাক ত্বকের পক্ষে খুবই লাভদায়ক৷

ব্রোনোর দাগ মেটান

পুদিনার মিন্ট ত্বকের গরম দূর করে৷ ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে৷ ব্রণের দাগ মিটিয়ে দেয়৷

ফেশওয়াশ লাগান

চেহারা সাবান দিয়ে না ওয়াশ করে ফেশওয়াশ ব্যবহার করুন৷ রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে আপনার মেকআপ অবশ্যই ধুয়ে ফেলুন৷

ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচুন

দু তিন ফোঁটা গ্লিসারিনের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান৷ এতে ঠোঁট ফাটবে না৷

ব্রোনো দূর করার টিপস

ত্বকের উজ্জ্বাল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রোনো৷ ব্রোনো থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন৷

* বেশী পরিমাণে নিরামিষ খাবার৷ আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন৷

* ডেয়ারী প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল কন্টেন্ট বেশী পরিমাণে রয়েছে যা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়৷ এই কারণেই পনীর, দুধ এবং দই কম খান৷

* কোল ডিঙ্ক্রস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন৷

* আচার খাবেন না৷ তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন৷

* খুব বেশী পরিমাণে জল খান৷ দিনে যদি দু লিটার জল খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে৷ জল বেশী খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে৷ আপনি ব্রোনোর সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন৷

* আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়৷ তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন৷

মুখের দাগ দূর করুন

মুখের কালো দাগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন? পাকা পেঁপে আপনার এই সমস্যা দূর করে দেবে৷ যদি মুখে কালো দাগ হয়ে যায় তাহলে শশা, পেঁপে আর টমেটোর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এই লেপটা যখন শুকিয়ে যাবে তখন দ্বিতীয় বার আবার এই লেপটা লাগান৷ এই ভাবে তিন চার বার এই লেপটা লাগান৷

20 মিনিট লেপটা লাগিয়ে রাখার পরে মুখটা ভালো করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন৷ এই ভাবে দিন 15-20 আপনি ঐ লেপটা লাগাতে পারেন আপনার মুখের কালো ছাপ অনায়াসেই দূর হয়ে যাবে৷

বলিরেখা দূর করার উপায়

বয়সের সঙ্গে মুখে বলিরেখা পড়ে যায়৷ প্রাকৃতিক কিছু উপাদান আছে যার প্রয়োগে এই বলিরেখা থেকে অনায়াসেই রেহাই পেতে পারেন৷ চলুন সেই উপায়টা জেনে নিই৷

* বেসন, লেবু আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন৷ ঐ পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে মুখের বলিরেখা দূর হবে৷

* অত্যাধিক রোদের প্রভাবে মুখে বলিরেখা তৈরী হয়৷ রোদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন৷

* আপেল খান৷ এর সঙ্গে আপেলের চোকলা শুকিয়ে তা গুড়ো করে মুখে লাগান৷ এতে উপকার পাবেন৷

* রাতে শোওয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে দুধের স্বরের মধ্যে বাদাম মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন৷ ঐ পেস্টটা মুখে লাগিয়ে শুন৷ সকালে উঠে বেসন দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে বলিরেখা খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে৷

* প্রতিদিন সেলাড খান৷

* দিনে একবার গাজরের রস খান৷ এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে৷ বলিরেখার প্রকোপ থেকে বাঁচবেন৷

*টমেটো কেটে মুখে লাগান৷ এতে বলিরেখা দূর হয়ে যাবে৷

পাকা চুল দূর করার উপায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকে৷ সেটা প্রকৃতির নিয়ম৷ কিন্তু অনেক সময়ে আবার কম বয়সেও চুল পাকতে শুরু করে৷ চুল সাদা হওয়ার পিছনে আসল কারণটা হল চুলের কোষে রঙীন পিগমেন্ট উত্পন্ন হয় যাকে মেলানিন বলে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে এই রঙীন পিগমেন্টের মাত্রা কমতে থাকে৷ হাওয়া লাগার ফলে চুলের পিগমেন্টের অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে ফলে চুল তাড়াতাড়ি সাদা হয়ে যায়৷ এছাড়াও চুল সাদা হয়ে যাওয়ার পিছনে আরও কিছু কারণ আছে৷ চলুন তা জেনে নিই৷

* মানসিক টেনশন
* অনিয়মিত খাবার খাওয়া
* জল এবং বায়ু দূষন
* টাইফয়েড বা লিভার সংক্রান্ত কোন রোগ হলে চুল পেকে যায়৷
* অত্যাধিক গরম জলে মাথা ধোওয়া
* ঠিক মত মাথা না ধোওয়া
* চুলে অত্যাধিক পরিমাণে ডাই ও রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা

পাকা চুল রোধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি

*আমলকীকে মেহেন্দীর পাতার সঙ্গে ভাল করে বেটে চুলে লাগান৷ প্রায় এক দেড় ঘন্টা রাখার পর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন৷

* কাড়ি পাতা খেলে মাথার চুল সাদা হবে না৷

* আমলকীর রস চুলে লাগালে চুল খুব তাড়াতাড়ি সাদা হবে না৷

* নারকেল তেলের মধ্যে মেহেন্দী পাতার রস মিশিয়ে ভাল করে ফোটান৷ ঐ তেলটা মাথায় লাগিয়ে দু ঘন্টার রাখার পর চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন৷ এটা চুলের পুষ্টি যোগাবে৷ চুল খুব তাড়াতাড়ি সাদা হবে না৷

চটজলদি খুসকী কমান

খুসকী চুলের মারাত্মক একটা সমস্যা৷ বেশীরভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভোগেন৷ বাজারে অ্যান্টি ডেনড্রাফ শ্যাম্পু লাগানোতে সাময়িক কমলেও পুরোপুরি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না৷ এই খুসকীতে যেমন চুল পড়ে৷ মাথার উপর সাদা সাদা খুসকী ভেসে থাকার ফলে চেহারার সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়৷ চলুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি করে অল্প সময়ে খুসকী দূর করা যায় তা জেনে নিই৷

* এক মগ জলের মধ্যে তাজা নীম পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন৷ পাঁচ মিনিট ফোটানোর পরে গ্যাস বন্ধ করে দিন৷ এবার ছাকনি দিয়ে জলটা ছেঁকে নিন৷ এই জলটা দিয়ে সপ্তাহে অন্তত চার-পাঁচ বার মাথা ধুন৷ মাথা ধোওয়ার দশ মিনিট পরে আয়ুর্বেদিক কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন৷

* গাজর পিষে পেস্ট তৈরী করুন৷ ঐ পেস্টটা মাথার গোড়াতে ভাল করে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে দিন৷ এরপর আয়ুর্বেদিক কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভাল করে ধুয়ে নিন৷

* 100 গ্রাম মেথিদানা রাতে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন৷ পরের দিন সকালে ঐ মেথি দানাকে পিষে নিন৷ এবার এই মেথির পেস্টটা চুলের গোড়ায় লাগান৷ 20 মিনিট রাখার পরে আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন৷

ব্রোনো দূর করে এরোমা ফেস প্যাক

আপনার কি তৈলাক্ত ত্বক? আপনি কি ব্রোনোর সমস্যায় ভোগেন? এরোমো থেরাপির মাধ্যমে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷এরোমা থেরাপিতে অয়েল থাকে৷ হয়ত ভাবছেন এই অয়েল আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে বাড়িয়ে ব্রোনোর সমস্যা বাড়াবে৷ এই ধারণা একেবারেই ভুল৷ এরোমা থেরাপি ত্বকের জন্য খুব উপকারী৷

এরোমা অয়েল হল অ্যান্টিসেপ্টিক৷ এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল পদার্থ রয়েছে৷ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই থেরাপি খুবই ফলদায়ী৷

এক চামচ কেয়োলিন পাউডারের সঙ্গে এক চামচ আযুর্বেদিক পিম্পল ফেস প্যাক,এক এক ফোঁটা কেমোমিলা, ল্যাভেন্ডার, জুনিয়ার পাচোলী, লাইম এরোমাকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ এই এসেন্থিয়াল ওয়েলকে এক ফোঁটা ফেস মাস্কের মধ্যে মেশান ৷ এবার এটাকে অ্যালোবেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ মুখে লাগানোর পরে 20 মিনিট পর্যন্ত রাখুন৷ তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷

এই প্যাকটাকে প্রতিদিন দুবার মুখে লাগান৷

ফর্সা হবার প্যাক

মুসুর ডালের প্যাক লাগিয়ে আপনি ফর্সা হতে পারবেন৷ দীর্ঘদিন যদি নিয়ম মেনে মুখে মুসুরির ডালের প্যাক লাগান তাহলে সহজেই আপনার মুখের কালো ছাপটা দূর হয়ে যাবে৷ চলুন এই প্যাক কি করে তৈরী করবেন তা জেনে নিই৷

* মুসুরির ডালকে রাতে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন৷ সকাল বেলায় ডালটা পিষে মুখে লাগান৷ রোজ যদি মুখে এই প্যাকটা লাগান আপনার চেহারায় কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে৷

* মুসুরির ডাল পিষে তার মধ্যে মধু এবং দই মিশিয়ে মুখে লাগান৷ এতে আপনার ত্বক সতেজ হবে৷

* যদি মুখে বা পীঠে দাগ হয় মুসুরির ডালের মধ্যে চালের পেস্টটা মিশিয়ে ওর মধ্যে চন্দন পাউডার,মুলতানী মাটি, কমলা লেবুর শুকনো চোকলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন৷ এর মধ্যে 2 চামচ শশার রসও মেশাতে পারেন৷ মুখে এবং শরীরের নানা স্থানে ঐ পেস্টটা লাগান৷ শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলুন৷


*মুসুর ডাল গুড়ো করে তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান৷ রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে 2 ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে 1 চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার মুখের রঙ ফর্সা হয়ে যাবে৷

চাঁদের মত সৌন্দর্য পেতে...

মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর চাবিকাঠিটা আমাদের হাতে রয়েছে৷ প্রতিদিন যদি মুখে ভেষজ প্যাক লাগানো যায়৷ আপনার গ্ল্যামার বাড়বে ছাড়া কমবে না৷ বাজারে তৈরী প্যাক নয় ঘরে তৈরী প্যাকই মুখে লাগান৷ বাড়িতে কি করে প্যাক তৈরী করবেন৷ কঠিন তা একেবারেই নয়৷ চলুন প্যাক তৈরীর রহস্যটা জেনে নিই৷

ডাবের জল ও দুধের স্বর: ডাবের জলের মধ্যে দুধের স্বর মিশিয়ে মুখের মধ্যে ভালো করে ম্যাসাজ করুন৷ এতে মুখের বলীরেখা দূর হয়ে যাবে৷ মুখের দাগ কমবে৷ এছাড়া ত্বকও নমনীয় হবে৷

চন্দনের বীজ আর মুলো: কখনও মুখে কালো কালো ছোপ তৈরী হয়৷ এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক চামচ চন্দনের বীজের প্যাক, এক চামচ মূলোর রস, আর আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান৷ কুড়ি মিনিট রাখার পরে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন৷ এতে খুব তাড়াতাড়ি মুখে র কালো দাগ দূর হয়ে যাবে৷

মধু এবং লেবু: মুখের গ্ল্যামার যদি এক নিমেষে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন মুখে লেবু আর মধুর রস মিশিয়ে লাগান৷ 20 মিনিট রাখার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷ এতে মুখ পরিষ্কার হবে৷ এর সঙ্গে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও দূর হয়ে যাবে৷

টমেটো ও লেবু: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের রোমকূপের ছিদ্রগুলোও বেড়ে যায়৷ টমেটোর রসের মধ্যে লেবুর রস সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷ এই প্যাক ত্বকের রোমকূপের ছিদ্রগুলোকে সঙ্কুচিত করবে৷ এই প্যাকটা দুধের স্বরের সঙ্গে মাখা যায় তাহলে মুখের রুক্ষ্ণ ভাবও দূর হয়ে যাবে৷

কাচা দুধ ও চন্দন পাউডার: রোদে ঘুরে মুখ যদি কালো হয়ে যায় তাহলে কাচা দুধের মধ্যে চন্দন পাউডার, শশার রস, লেবুর রস, বেসন মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন৷ ঐ প্যাকটা মুখে লাগিয়ে কিচুক্ষন রাখার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ত্বকের কালোভাব দূর হয়ে যাবে৷

শুষ্ক ত্বকের সুরক্ষা

ড্রাই স্কিন অর্থাত শুষ্ক ত্বকের উজ্বাল্য কম থাকে৷ ঋতুর প্রভাব শুষ্ক ত্বকের উপর ভীষণ ভাবে পড়ে৷ তাই খুব ভাল করে ত্বকের খেয়াল না রাখলে খুব সহজেই এতে বলীরেখা পড়ে যাবে৷

শুষ্ক ত্বকে একেবারেই সাবান লাগানো উচিত নয়৷ এস্ট্রিজেন একেবারেই লাগাবেন না৷ যাদের শুষ্ক ত্বক তারা খুব বেশী মাত্রায় ভিটামিন এ,ডি, সি ও বি যুক্ত খাবার খান৷ মুখ ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করুন৷

ত্বকের টাইপ জেনে ক্লিনজার কিনুন

চেহারার সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য শুধুমাত্র নিয়মিত এক্সসারসাইজ করলেই চলবে না৷ এর পাশাপাশি শাকসবজী,ফলমূল খেতে হবে৷ আপনার ত্বকের উপযুক্ত ক্লিনজার লাগাতে হবে৷ তাহলেই ফিটনেসের সঙ্গে আপনার ত্বকের উজ্জ্বাল্যও বাড়বে৷ ক্লিনজার শুধুমাত্র চড়া মেক আপ তুলতেই সাহায্য করে না৷ মৃত কোষগুলোতে নির্মূল করতেও তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে৷ তবে ক্লিনজারটা কেনার আগে সেটা আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিনা সেটা একবার যাচাই করে নিন৷ কি ধরনের ক্লিনজার লাগাবেন চলুন তা জেনে নিই৷

* আপনার ক্লিনজারটা যেন একেবারেই মাইল্ড হয়৷

* আর্টিফিসিয়াল কালার যুক্ত যেন না হয়৷

* বাজারে অনেক ধরনেরই ফেশ ওয়াশ পাবেন৷ হার্বাল,গ্লিসারিন যুক্ত,অ্যারোমা ওয়েলস,ভিটামিন ই বা সি যুক্ত৷ তবে আপনার ত্বক অনুযায়ী তার নির্বাচন করুন৷

* যদি আপনার ত্বক সেন্সেটিভ হয় তাহলে পারফিউম যুক্ত বা ফর্মুলা ক্লিনজার কখনই লাগাবেন না৷ তা মুখ চুলকাতে পারে৷ তাছাড়া মুখে টান ধরতে পারে৷
* মুখে যদি ব্রোনো থাকে তাহলে নিম যুক্ত মেডিকেটেড ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

* ড্রাই স্কিনের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখবার ওয়েল বা গ্লিসারিন যুক্ত ক্রিমি ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

* নর্মাল স্কিনের জন্য ময়শ্চারাইজিং ফর্মুলা যুক্ত ক্লিনজার প্রয়োগ করুন৷

* স্কিনে এক্সট্রা হাইড্রেশান দেওয়ার জন্য ভিটামিন ই যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

সৌন্দর্য লাভের গুরুমন্ত্র

* বেশী করে জল খান৷ বিভিন্ন ভেষজ পদার্থ ত্বকে লাগান৷ ফলের রস খাওয়ার সঙ্গে মুখেও খানিকটা মেখে নিন৷ এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে৷ এছাড়া মুখে গোলাপ জল লাগান৷
* এক গ্লাস জলের মধ্যে বরফ দিয়ে ওর মধ্যে মধু, লেবু এবং পুদিনা পাতা দিন৷ সেই জলটা পান করুন৷ এতে চমক বাড়বে৷

* তরমুজের রসের মধ্যে বরফ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে খান৷

* দিনে কম পক্ষে 8-10 গ্লাস জল খান৷

* নেল পালিশ লাগানোর আগে হাত 20 সেকেন্ড একদম ঠান্ডা জ অলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন৷ এরপরে নেল পালিশ লাগান৷ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷

মুখের কালো ছাপ দূর করুন

মুখের কালো ছাপ দূর করবেন? চিন্তা নেই প্রাকৃতিক কিছু ভেষজ উপাদান রয়েছে যার প্রয়োগে আপনি সহজেই আপনার মুখের উজ্জ্বাল্য ফিরে পেতে পারেন৷ চলুন সেই পদ্ধতিটা কি তা জেনে নিই৷

1. লেবু ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী৷ যে কোন ধরনের ফেস প্যাকেই আপনি লেবুর প্রয়োগ করতে পারেন৷ লেবু সহজেই কালো ছাপ দূর করবে৷
2. মুখের কালো ছাপ দূর করতে হলে দুধের স্বরের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান৷ কিছুক্ষন রাখার পরে গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন৷

3. টমেটোর রসের মধ্যে অল্প হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান৷ ফল পাবেন৷

4. আঙুরের রসের মধ্যে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান৷ মুখের চমক বাড়বে৷

পুরুষদের স্কিন কেয়ার

কেবল মহিলারাই নন,পুরুষদেরও ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত৷ অত্যাধিক রোদ,এয়ার কন্ডিশনার, ক্লোরিন যুক্ত জল, সাবান এবং আফটার শেভিং লোশান ব্যবহারের ফলে পুরুষদের ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে৷ তাই ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচাতে তাদেরও কিছু উপায় অবল্বন করা উচিত৷ চলুন সেই উপায়গুলো জেনে নিই৷

তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্ল্যক হেডস যুক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সব সময় ক্লিনজিং স্ক্রাব লাগানো উচিত৷ স্ক্রাবকে ভালো করে মুখে রগড়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিন৷ শেভিং এর জন্য হালকা ধরনের কোন ক্রিম ব্যবহার করুন৷ চিপচিপে নয়, এরকম আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করুন৷

চন্দন যুক্ত আফটার শেভ লোশান ব্যবহার করুন৷ এই ক্রিম ময়শ্চরাইজারের কাজ করবে৷

রাতে শোওয়ার আগে মুখে ক্লিনজিং লাগিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন৷

সপ্তাহে একবার অন্তত পক্ষে ফেশিয়াল করুন৷ এতে নতুন কোষ উত্পাদন বৃদ্ধি পাবে৷

চিন্তামুক্ত থাকার জন্য মাথা এবং শরীরের ম্যাসেজ করা জরুরী৷ তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ক্ষেত্রে ম্যাসেজ করা একেবারেই ঠিক নয়৷

চুলকে সিল্কী করুন

চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে হলে চুলের যত্ন করুন৷ যে সব মহিলারা রোজ বাইরে বেরোন তাদের বেশী করে চুলের প্রতি নজর দেওয়া উচিত৷ কারণ গাড়ির ধোওয়ায় চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়৷ কখনও চুল ঝরতে শুরু করে৷ আবার কখনও মাথায় খুসকীর মাত্রা বেরে যায়৷ এর থেকে বাঁচতে কি করবেন?

* সপ্তাহে অন্তত দু-দিন মাথায় শ্যাম্পু করুন৷

* এক্ষেত্রে যে শ্যাম্পুটা আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত সেটাই ব্যবহার করবেন৷ কারণ অনেক সময়ে শ্যাম্পুর কারনে চুল ঝরে যায়৷

*নারকেল চুলের জন্য ভালো৷ তবে সরষের তেলও লাগাতে পারেন৷ সরষের তেলের মধ্যে নিম পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে সেই তেলটা মাথায় লাগান৷ তা আপনার চুলের গ্লেজ বাড়াবে৷ রাতে শোওয়ার আগে মাথায় ভালো করে ম্যাসেজ করে লাগান৷ পরের দিন সকাল বেলায় শ্যাম্পু করে ফেলুন৷ এতে আপনার চুল পাকবে না৷ চকচকে হবে৷

* যদি মাথায় চুল কমে যায় এক চামচ কেস্টার ওয়েলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রাতে মাথায় লাগান৷ পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন৷ এরকম কিছুদিন লাগালেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে৷

* খুসকী থেকে বাঁচতে নারকেল তেলের কর্পূর বা লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগান৷ খুসকী কমে যাবে৷

Monday, October 5, 2009

ত্বকের টাইপ জেনে ক্লিনজার কিনুন

চেহারার সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য শুধুমাত্র নিয়মিত এক্সসারসাইজ করলেই চলবে না৷ এর পাশাপাশি শাকসবজী,ফলমূল খেতে হবে৷ আপনার ত্বকের উপযুক্ত ক্লিনজার লাগাতে হবে৷ তাহলেই ফিটনেসের সঙ্গে আপনার ত্বকের উজ্জ্বাল্যও বাড়বে৷ ক্লিনজার শুধুমাত্র চড়া মেক আপ তুলতেই সাহায্য করে না৷ মৃত কোষগুলোতে নির্মূল করতেও তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে৷ তবে ক্লিনজারটা কেনার আগে সেটা আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কিনা সেটা একবার যাচাই করে নিন৷ কি ধরনের ক্লিনজার লাগাবেন চলুন তা জেনে নিই৷

* আপনার ক্লিনজারটা যেন একেবারেই মাইল্ড হয়৷

* আর্টিফিসিয়াল কালার যুক্ত যেন না হয়৷

* বাজারে অনেক ধরনেরই ফেশ ওয়াশ পাবেন৷ হার্বাল,গ্লিসারিন যুক্ত,অ্যারোমা ওয়েলস,ভিটামিন ই বা সি যুক্ত৷ তবে আপনার ত্বক অনুযায়ী তার নির্বাচন করুন৷

* যদি আপনার ত্বক সেন্সেটিভ হয় তাহলে পারফিউম যুক্ত বা ফর্মুলা ক্লিনজার কখনই লাগাবেন না৷ তা মুখ চুলকাতে পারে৷ তাছাড়া মুখে টান ধরতে পারে৷
* মুখে যদি ব্রোনো থাকে তাহলে নিম যুক্ত মেডিকেটেড ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

* ড্রাই স্কিনের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখবার ওয়েল বা গ্লিসারিন যুক্ত ক্রিমি ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

* নর্মাল স্কিনের জন্য ময়শ্চারাইজিং ফর্মুলা যুক্ত ক্লিনজার প্রয়োগ করুন৷

* স্কিনে এক্সট্রা হাইড্রেশান দেওয়ার জন্য ভিটামিন ই যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন৷

বাদাম, চন্দনে ত্বকের সুরক্ষা

প্রাকৃতিক নানা উপাদান ত্বকের সুরক্ষাতে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এই ভেষজ উপাদানের ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বাল্য বাড়ে৷ এর সঙ্গে সৌন্দর্যেও এক নতুন মাত্রা যোগায়৷ চলুন সেই ভেষজ উপাদানগুলোর কথা জেনে নিই৷

বাদাম এবং কমলা লেবু: মেয়েদের একটা সমস্যা হল ব্রোনোর দাগ মেটানো৷ যদি মুখে ব্রোনোর কারণে দাগ হয তাহলে দুটো বাদাম পিষে তার মধ্যে দুধ ও এক চামচ শুকনো কমলা লেবুর গুড়ো মিশিয়ে আস্তে আস্তে মুখে ঐ পেস্টটা লাগান৷ বেশ কিছুক্ষন রাখার পর ঐ প্যাকটা যখন মুখে শুকিয়ে যাবে তখন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ অল্প দিনের মধ্যেই আপনার মুখের সব দাগ দূর হযে যাবে৷

কাচা দুধ ও চন্দন পাউডার: রোদের কারণে অনেক সময় ত্বক পুড়ে যায়৷ চামড়ার মধ্যে কালো ছাপ তৈরি হয়৷ সেক্ষেত্রে ত্বকের উজ্জ্বাল্য ফিরিয়ে আনতে ডাবের জলের মধ্যে কাচা দুধ, অল্প চন্দন পাউডার, শশার রস, লেবুর রস, বেসন মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন৷ সপ্তাহে দু দিন ঐ প্যাকটা সারা শরীরে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষন রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে কালো ভাবটা দূর হয়ে যাবে৷